করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আপাতত দুমাস ফ্রেঞ্চ কিস থেকে দূরে থাকুন। নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থেই। আদর, সোহাগ, আহ্লাদের সুযোগ আবারও আসবে কিন্তু এই সময় মাত্রাছাড়া কোনও কিছু নয়
ফ্রেঞ্চ কিসকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সেরা চুমু হিসেবেই ধরা হয়।
এই চুমু খাওয়ার সময় একে অপরে মুখের ভিতর ঠোঁট, জিভ গভীরভাবে প্রবেশ করে।
অনেক্ষণ সময় নিয়ে এই চুমু খেতে হয়
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: সদ্য সদ্য প্রেম শুরু করেছে রিয়া। ওর প্রেমিক আবার চুমু খেতে বড্ড ভালোবাসে। সুয়োগ পেলেই রিয়াকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয়। রিয়া এনজয় করে না একথা ঠিক নয়। কিন্তু হালকা চুমু হলে ঠিক আছে। ওই ফ্রেঞ্চ কিস শুরু করলেই ওর অস্বস্তি শুরু হয়। প্রেমিকের খারাপ লাগতে পারে ভেবে কিছু বলে না। কিন্তু বাড়ি এসে বার বার মুখ ধোয় আর ব্রাশ করে।
আসলে রিয়ার একটু পরিচ্ছন্নতার বাতিক আছে। মানে সাদা বাংলায় শুচিবায়ুতা। তার উপর রোগ ভোগকে ও বেজায় ভয় পায়। করোনার কারণে চুমু খাওয়া বেশকিছুদিন বন্ধ থাকলেও যেদিন থেকে লিভ ইন করতে শুরু করেছে সেদিন থেকেই হয়েছে বিপদ। প্রেমিক সবসময় সুযোগের সদ্ব্যবহার করে।
ওদিকে রিয়ার মাথায় ঘুরছে নানা আজগুবি কথা। এভাবে গভীরভাবে চুমু খেলে কি মুখের ভিতর কোনও রোগ হতে পারে? ফ্রেঞ্চ কিসের পর কতবার ব্রাশ করলে জীবাণুর হাত থেকে রেহাই মিলবে? যদি মুখে কোনও ঘা হয়?
রিয়ার মতো এসব প্রশ্ন কি আপনার মনেও জাগে? চুমুর মতো সুন্দর জিনিস নিয়েও কি আপনি সন্দেহ করেন? তাহলে তো যেচে পড়ে কিছু পরামর্শ দিতেই হয়।
মানুন বা না মানুন ফ্রেঞ্চ কিসকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সেরা চুমু হিসেবেই ধরা হয়। এই চুমু খাওয়ার সময় একে অপরে মুখের ভিতর ঠোঁট, জিভ গভীরভাবে প্রবেশ করে। অনেক্ষণ সময় নিয়ে এই চুমু খেতে হয়। এই চুমু খাওয়ার সময় শরীরে শিহরণ তো জাগেই সঙ্গে আবেগ বাড়তে থাকে প্রতি মুহূর্তে।
বলা বাহুল্য যে, গভীরভাবে চুমু খেতে গেলে একে অপরের লালারস আদান প্রদান হবেই। আর অনেকে এর থেকেই রোগের আশঙ্কা করে থাকেন।
শরীর ভালো থাকবে চুমুতে!
আপাত দৃষ্টিতে ফ্রেঞ্চ কিস থেকে রোগ সংক্রমণের কোনও ভয় থাকে না। বরং এতে মন ভালো হয়ে যায়।
তবে লালারস থেকে সরাসরি যে সমস্ত সংক্রমণ হয় দুজনের মধ্যে একজনের সেই রোগ থাকলে অপরজনের মধ্যে তা অনায়াসেই সংক্রমণ হয়ে যায়।
মুখের ইনফেকশন এবং সর্বোপরি করোনা সংক্রমণ হতে পারে ফ্রেঞ্চ কিস করলে।
ফ্রেঞ্চ কিস থেকে HPV সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। আর তা থেকে HIV বা হেপাটাইটিস বি-র মতো রোগ সংক্রমণের সামান্য সম্ভাবনাও থাকে। যেমন ধরুন কোনও সংক্রমিত রোগীকে চুমু খেতে গিয়ে দাঁতের কামড়ে উভয়ের ঠোঁটে কেটে গেলে সামান্য হলে রোগ সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যাঁদের OCD সমস্যা আছে তাঁরা ফ্রেঞ্চ কিসের পর উদ্বেগে ভোগেন।
দুজনের মধ্যে একজনের ফ্রেঞ্চ কিসে অনীহা থাকলে সম্পর্কে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে।
রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা না থাকলেও ফ্রেঞ্চ কিস করার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন।
চুমু খাওয়ার আগে মুখের ভিতরের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
মনে রাখবেন চুমু খাওয়ার সময় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সঙ্গী হাতা ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
মুখে ইনফেকশন থাকলে গাফিলতি না করে চিকিৎসা করান। চেষ্টা করুন মুখে রোগ সাড়িয়ে তারপর সঙ্গীকে চুমুকে ভরিয়ে তোলার।
ফ্রেঞ্চ কিস করার আগে এমন কিছু খাবেন না যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
অনেকে চুমু খাওয়ার আগে মুঘে সুগন্ধি মুখশুদ্ধি খেয়ে নেন। তবে সমীক্ষা বলছে চুমুর সময় স্বাভাবিক মুখ থাকলেই সঙ্গী বা সঙ্গিনী স্বস্তি পান।
OCD-র সমস্যা থাকলেও চুমু খাওয়ার পর সঙ্গীর বা সঙ্গিনীর সামনেই মুখ ধুতে শুরু করে দেবেন না।
সাবধানে চুমু খান। শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।